শিক্ষার্থী হিসেবে শিবির কতটা ভালো?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরের সাথে আমার পরিচয় ২০১৯ সাল থেকেই। সে আমার ব্যাচমেট এবং আমরা একই ডিপার্টমেন্টের।
দীর্ঘ এই হল লাইফে তার সাথে কতবার যে ক্যান্টিনে, দোকানে বসে খেয়েছি তার হিসেব নাই। এবং সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং বিষয় হচ্ছে একসাথে খেতে গেলে কখনোই সে অন্য কাউকে বিল দিতে দেয় না। জোর করে নিজে বিল দিয়ে দেয়।
এতদিনের হল লাইফে জুনিয়র, সিনিয়র এমনকি হলের দোকানীরা পর্যন্ত কেউ তার আচরণের ব্যাপারে একটি অভিযোগও করতে পারবে না বলে আমার বিশ্বাস। যদিও সে আমার বন্ধু কিন্তু ফোন দিলে কিংবা সরাসরি দেখা হলে সে সালাম দিয়ে কথা শুরু করে।
তার সাথে এতদিনের উঠাবসায় কখনো ভাবিনি সে ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখার নেতা হবে। তার আখলাকে হাসানাহ দেখে হয়ত ধারণা করতাম এরকম কিছু। কিন্তু সে যে আমার ধারণার চেয়েও অনেক এগিয়ে তা আজকে বুঝতে পারলাম। হলের যে বন্ধুটা শিবিরকে অপছন্দ করে সেও নুরের ব্যাপারে কোনো খারাপ কিছু বলতে পারবে না।
যাইহোক, সংগঠন হিসেবে শিবির নিয়ে বিতর্ক ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু শিবির যেভাবে সাদেক কায়েম, এস এম ফরহাদ, নুর, হামিদ জামিলের মত মানুষদের রিক্রুট করছে তাতে শিবির নিয়ে দুই একটা লাইন লিখাই যায়।

Post a Comment